গতকাল রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সংগ্রহ টপকাতে শেষ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার ছিল ৯ রান। ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটার আব্দুল সামাদ। জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ছিল হায়দরাবাদের দিকে। সেখানেই বাজিমাত বরুণ চক্রবর্তীর। মাত্র ৩ রান খরচ করে ফিরিয়েছেন সামাদকে। সানরাইজার্সদের বিপক্ষে ৫ রানের জয় পেয়েছে রাইডার্সরা। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে নিতিশ রানার দল। জবাবে ব্যাটে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। ১০ ম্যাচে ৪ জয়ে টেবিলের আটে কলকাতা। একম্যাচ কম খেলে ৩ জয়ে নয়ে হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের মাঠে শুরুটা ভালো হয়নি অতিথি দলের। ৩৫ রানে কলকাতা হারায় ৩ উইকেট।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬১ রান করেন নিতিশ রানা ও রিংকু সিং। ১১.২ ওভারে দলীয় ৯৬ রানে ফেরেন নিতিশ। ৩১ বলে ৪২ রান করেন রাইডার্স অধিনায়ক। নিতিশ ফেরার পর একপ্রান্ত রিংকু আগলে রাখলেও ১৫১ রানে আরও ৩ উইকেট হারায় সরকারী দল। ফেরেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও শার্দূল ঠাকুর। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রান করেন কেবল রাসেল, ১৫ বলে ২৪।
ইনিংসের শেষ ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় কলকতা। ১৯.২ ওভারে দলীয় ১৬৮ রানে ফেরেন রিংকু। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে। পরের বলে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন হার্শিত রানা। শেষঅবধি কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৭১ রান। হায়দরাবাদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো জানসেন ও নটরাজন। ভূবেনশ্বর কুমার, কার্তিক ত্যাগি, মার্করাম ও মায়াঙ্ক মার্কান্দে নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ হয়নি স্বাগতিকদের। ২.৫ ওভারে ২৯ রানে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ১১ বলে ১৮ রান করে। পরের ওভারেই ফেরেন অভিষেক শর্মা। ১০ বলে ৯ রান করে। দলীয় ৫৩ ও ৫৪ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় হায়দরাবাদ। ৯ বলে ২০ রান করে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠী। রানের খাতা না খুলেই আউট হন হ্যারি ব্রুক। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন হেনরিক ক্ল্যাসেন ও এইডেন মার্করাম।
১৪.১ ওভারে দলীয় ১২৪ রানে ফেরেন ক্ল্যাসেন। ২০ বলে ৩৬ রান করে। ১৬.৫ ওভারে ১৪৫ রানে ফেরেন মার্করাম। ৪০ বলে ৪১ রান করেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। ১৮.১ ওভারে ১৫২ রানের সময় নামের সঙ্গে সুবিচার না করে ফেরেন মার্কো জানসেন। শেষ ওভারে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে ফেরেন আব্দুল সামাদ। ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি।
শেষ অবধি বরুণ চক্রবর্তীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে দলকে জয়ের নোঙরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন ভূবনেশ্বর কুমার ও মায়াঙ্ক মার্কান্দে। ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বৈভব আরোয়া ও শার্দূল ঠাকুর। হার্শিত রানা, আন্দ্রে রাসেল, অনুকূল রায় ও বরুণ নেন একটি করে উইকেট।